সিলেট: সিলেট নগরের বেশ কিছু সড়কের বেহাল অবস্থা। পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সড়কের মধ্যখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এর মধ্যে দিয়ে চলছে যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি দিলেই এসব গর্ত মরণফাঁদ হয়ে উঠে।
নগরের ডা. চঞ্চল রোড থেকে সুবিদ বাজার পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে ধীর গতিতে। তাছাড়া একদিকে কাজ হলেও অন্যদিকে সৃষ্টি হচ্ছে খানা-খন্দ। শুধু এই সড়ক নয়, নগরের প্রায় সড়ক-ই এখন অভিভাবকহীন। করুণ অবস্থা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাঠানটুলা সড়ক। এছাড়াও নগরের সুনামগঞ্জ রোড, মিরের ময়দান-টিলাগড়, মিরাবাজার সড়কও একই অবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরের ময়দান,মিরাবাজার পাঠানটুলা এলাকার সড়কে অনেক অংশ ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন নগরের এসব এলকায় ব্যাক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ শত শত যানবাহন চলছে। বিকেলে বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের উপর । এতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগ পোহালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর।
সমর নামে এক পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই অবস্থা । অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে এসব পানি ছিটকে গিয়ে মানুষের ওপর পড়ে। মোটরসাইকেল বা রিকশায় যাওয়া আশা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন রাস্তাগুলোর কাজ দ্রুত করার জন্যে।
রিকশাচালক আমির আলী বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে মানুষকে নিয়ে যাওয়া আসা করি । কিন্তু রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় এখন অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে সময় ও শ্রম বেশি দিতে হয়। যদি সড়কটি ভাঙাচোরা না থাকত, তাহলে এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হতো না।
সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয় নি। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে মারাত্মক যানজটের দেখা দিচ্ছে প্রতিদিন।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে আগামী সপ্তাহে আসছে সিটি কর্পোরেশনের বাজেট। এই বাজেটে উন্নয়নের পরিধি আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কাজগুলো যত তাড়াতাড়ি পারি শেষ করতে। তবে এখন তো বৃষ্টির দিন তাই কাজ করতে পারছি না। রোদ্র উঠলে আমরা পুণরায় কাজ শুরু করব ।
পাঠানটুলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ড্রেনের কাজ আমরা করছি। সড়কের ভাঙাচোরা অংশ নগরের অভ্যন্তরে হলেও এটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতাধীন।
তবে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।